যারা মাঝারি বা বড় প্রতিষ্ঠিত খামারি এবং খামার করার কথা ভাবছেন, তাদের সবচেয়ে ঝামেলার কাজ হলো অপেক্ষাকৃত কম দামে এবং কাছাকাছি এলাকা থেকে গরু বা ছাগল কেনা। কিন্তু দেশে গবাদিপশুর পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী অনেক হাট বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন হাট। স্থানীয়রা জানলেও দূরবর্তী জেলার লোকেরা এই হাট সম্পর্কে হয়তো জানেনই না।
এসব হাটের প্রত্যেকটির নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে। কোনোটিতে শুধু গরু পাওয়া যায়, কোনোটিতে ছাগল, মহিষ। আবার কোন কোন হাটে দেশি গরু পাওয়া যায়, কোন হাটে হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান, সিন্ধি, শাহীওয়াল বা জার্সি পাওয়া যায় অনেক খামারির কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। আবার বিশেষ কিছু এলাকা আছে যেখানে শুধু স্থানীয় জাতের গরু ছাগল পাওয়া যায়। যেমন, ছোট পুঁজিতে দ্রুত লাভ করতে চাইলে অনেকের জন্য ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের খামার উপযুক্ত হতে পারে।
এসব কিছু বিবেচনায় হাটের ঠিকানা এবং কোথায় কেমন গরু-ছাগল পাওয়া যায়, এটা নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। তাদের জন্য এখানে সারা দেশের গরু ছাগলের হাটের একটি তালিকা দেওয়া হলো।
তবে অনেক হাট কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনাও আছে। ফলে প্রতি বছর স্থানীয়দের ব্যাপারী এবং খামারিদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়ে আপডেট থাকতে হবে।
কোথায় কেমন দামে কোন গরু মিলবে
১. বাজেট যদি ৩৫-৪০ হাজার টাকার মধ্যে, তাহলে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, যাত্রাপুরা, লালমনিরহাটের বড়বাড়ী হাট থেকে কেনা যেতে পারে। এখানকার বেশিরভাগ বাছুর লাল, দেখতে খুব সুন্দর। ১২ থেকে ১৮ মাস মেয়াদি প্রজেক্ট হলে এই বয়সী এবং এই জাতের বাছুর কেনা ভালো।
২. ৫০-৫৫ হাজার টাকার মধ্যে শাহীওয়াল ষাঁড় কিনতে চাইলে বগুড়ার বুড়িগঞ্জ, ঘোড়াধাপ, মহাস্থান, ডাকুমারা, জয়পুরহাট, পাবনার চতুর্বাজার।
৩. বাজেট যদি ৫৫ হাজার টাকার উপরে হয়, তাহলে অবশ্যই চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার বালিয়াপাড়া হাট।
৪. শুধু গাভীন (গর্ভবতী) গাভী কিনতে চাইলে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার ধাপেরহাট সবচেয়ে ভালো হবে। প্রতি রবিবার ও বৃহঃস্পতিবার সেখানে হাটবার।
৫. শুধু ইন্ডিয়ান বলদ গরু ও নেপালী বড় গরু কিনতে চাইলে বেনাপোলের পুটখালী এবং সাতক্ষীরার বৈখালী।
৬. যদি দেশি লাল বলদ গরু কিনতে চান তাহলে প্রতি শনিবার জয়পুরহাট জেলার হাট।
৭. যদি শুধু দেশি বাছুর কিনতে চান তাহলে যেতে হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনাইচন্ডী ও তর্তিপুর হাট।
৮. মহিষ কিনতে হলে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনাইচন্ডী হাট এবং মৌলভীবাজারের হাটগুলো।
৯. শুধু অস্ট্রেলিয়ান (হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান) এবং ক্রস বাছুর কিনতে চাইলে পাবনার ঈশ্বরদীর অরনখোলার হাট। এই হাট শুধু ক্রস বাছুরই পাওয়া যায়।
১০. ইন্ডিয়ান বলদ এবং বড় ষাঁড় গরুর জন্য রাজশাহীর সিটি হাট। যশোরের সাতমাইল ভালো গরু ওঠে। তবে এই হাট আর আগের মতো রমরমা নেই।
১১. কেউ যদি দেশি জাতের খাটো বুট্টী টাইপের গরু কিনতে চান তাহলে অবশ্যই দিনাজপুর এবং রংপুরের হাটগুলো থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এই জাতের গরুর খামার খুব লাভজনক। কারণ ২-৩ মাসের মধ্যে গরু বিক্রয় উপযোগী হয়ে যায়, খাবার কম লাগে, তাদের মুখে অনেক রুচি, রোগবালাই হয় না বললেই চলে। মধ্যবিত্তরা একা কুরবানী দেওয়ার জন্য এই গরু কেনে। কিন্তু তিন মাসের বেশি পুষলে (পালন) লোকসান হবে। কারণ এই জাতের গরু খুব বেশি বড় হয় না।
১২. চিটাগাং রেড কাউ বা আরসিসি কাউ কিনতে হলে যেতে হবে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, আনোয়ারা উপজেলায়। এই জাতটা দীর্ঘমেয়াদের জন্যে ভালো। অর্থাৎ বেশিদিন পালন করে বেশি লাভ করতে চাইলে দেশির মধ্যে এই জাতটি নেওয়া যেতে পারে।
সারা দেশে হাটের তালিকা
সারা দেশে হাটের তালিকা
বৃহত্তর চট্টগ্রাম
১. বিবিরহাট, শনি ও মঙ্গলবার।
২. সাগরিকা, বৃহস্পতি ও সোমবার।
৩. হাটহাজারী স্টেশন বাজার, বৃহস্পতিবার।
৪. মিরসরাই মিঠাচরা বাজার, বৃহস্পতিবার।
৫. সীতাকুণ্ড থানার ফকিরহাট, বুধবার।
৬. রাঙ্গুনিয়া রানীর হাট, শনি ও মঙ্গল।
৭. রাঙ্গুনিয়া রোয়াজার হাট, সোম ও শুক্রবার।
৮. রাঙ্গুনিয়া পদুয়া বাজার, প্রতি বৃহস্পতিবার।
৯. বাগিচাহাট, চন্দনাইশ, সোমবার ও শুক্রবার।
১০. থানা হাট, পটিয়া, সোমবার ও শুক্রবার।
১১. কেরানিহাট, রবিবার ও বুধবার।
১২. আনোয়ারা সরকার হাট, সোম ও শুক্রবার।
১৩. কক্সবাজারের চকরিয়ার ইলিশিয়া হাট, প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার।
১৪. রামদাশ মুন্সিরহাট বাঁশখালী, রবি ও বৃহস্পতিবার।
১৫. রাংগুনিয়া রাণি হাট, শনি ও মঙ্গলবার।
১৬. কাওখালি বাজার, বৃহস্পতিবার ও সোমবার (সকাল বেলা)।
১৭. খিরাম বাজার ফটিকছড়ি, রবি ও বৃহস্পতিবার।(ভোর থেকে বেলা ১১/১২টা পর্যন্ত।
১৮. নাজিরহাট বাজার, শনিবার ও মঙ্গলবার।
১৯. মাইনি বাজার রাঙ্গামাটি, শনিবার ভোর বেলা।
২০. শুভলং বাজার রাঙ্গামাটি, শনিবার।
২১. রামগড় বাগান বাজার, শুক্রবার।
২২. গুইমারা বাজার, মঙ্গলবার।
২৩. চিকনছড়া বাজার, মঙ্গলবার।
২৪. বান্দরবান লামা বাজার, মঙ্গলবার ও শনিবার।
২৫. চন্দনাইশের বৈলতলী, খোদার হাট, রবিবার ও বুধবার।
অন্যান্য বড় হাট
১. টাঙ্গাইলের মির্জাপুর দেওহাটায় প্রতি মঙ্গলবারে বড় গরুর হাট বসে। উন্নত জাতের গাভী এবং বাছুর পাওয়া যায় এই হাটে ।
২. কুমিল্লার চান্দিনা হাট। শনি ও মঙ্গালবার হাট বসে। ষাঁড় গরু বেশি ওঠে।
৩. নোয়াখালী, রামগঞ্জ। সোনাপুর হাট। অনেক দেশি গরু পাওয়া যায়।
৪. মিটাপুকুর থানা, জেলা রংপুর, বৈরাতি হাট, বিশাল গরুর হাট। হাটবার শনিবার মঙ্গলবার, বেশিরভাগ দেশি গরু পাওয়া যায়।
৫. চাপারহাট। প্রতি সোম এবং শুক্রবার বসে। দেশি গরু ভালো পাওয়া যায়।
৬. গাজীপুর কাপাসিয়া থানা আমরাইদ হাট। প্রতি মঙ্গলবার বসে।
৭. রাজবাড়ী জেলা প্রতি রবি ও বৃহস্পতি বার বিশাল গরুর হাট।
৮. গোবিন্দগঞ্জ (গোলাপবাগ) হাট প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার হাট। দেশি-বিদেশি গরু পাওয়া যায়।
৯. ঢাকার আশুলিয়া হাট। প্রতি বুধবার বসে। ভালো দেশি ও ক্রস ষাঁড় পাওয়া যায়।
১০. নাটুয়ারপাড়া হাট। হাটবার প্রতি সপ্তাহের শনিবার। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
১১. ঝিনাইদহ জেলার ভাটই বাজার, প্রতি রবিবার বসে। দেশি গরু পাওয়া যায়।
১২. নেত্রকোনার সিধলি বাজার, শুধুমাত্র সোমবার , অনেক দেশি গরু পাওয়া যায় ৷
১৩. সুনামগঞ্জ জেলার ধরমপাশায় বিশাল হাট। হাটবার প্রতি বৃহস্পতিবার। নেত্রকোনা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে।
১৪. হবিগঞ্জের মাধবপুরের কেশবপুরবহাট। প্রতি সোমবার বসে। দেশি গরু ভালো পাওয়া যায়।
১৫. জংলী শিবপুর হাট, রায়পুরা, নরসিংদী জিলা। প্রতি রবিবার বসে। দেশি গরু ভালো পাওয়া যায়।
১৬. বেলাবো হাট, নরসিংদী জেলা। প্রতি শুক্রবার বসে। মুলত দেশি গরু পাওয়া যায়।
১৭. নারায়নপুর হাট, বেলাবো, নরসিংদী। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বসলেও গরুর হাট কেবল মঙ্গলবার বসে।
১৮. পোড়াদিয়া হাট, বেলাবো, নরসিংদী জেলা। প্রতি বৃহস্পতিবার বসে। দেশি গরু ভালো পাওয়া যায়।
১৯. শ্রীরামপুর হাট, রায়পুরা, নরসিংদী জেলা। প্রতি সোমবার বসে। দেশি গরু ভালো পাওয়া যায়।
২০. কুষ্টিয়ার ভাদালিয়া হাট। প্রতি শনিবার বসে। দেশি ও ইন্ডিয়ান গরু পাওয়া যায়।
২১. সিরাজগঞ্জের শালুয়াভিটা হাট। প্রতি মঙ্গলবার বসে। দেশি ও ক্রস গরু পাওয়া যায়।
২২. চান্দাইকোনা হাট, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ জিলা। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বসে। দেশি ও ক্রস গরু পাওয়া যায়।
২৩. জয়পুরহাট জিলা হাট। প্রতি শনিবার বসে। দেশি ও ইন্ডিয়ান গরু পাওয়া যায়।
২৪. পাঁচবিবি হাট, জয়পুরহাট জেলা। প্রতি মঙ্গলবার বসে। দেশি ও ইন্ডিয়ান গরু পাওয়া যায়।
২৫. গোবিন্দাসী হাট, টাঙ্গাইল। যমুনা ব্রিজের কাছে। দেশি ও শাহিওয়াল গরু পাওয়া যায়।
২৬. হাতিরদিয়া হাট, নরসিংদী। প্রতি রবিবার বসে। দেশি গরু পাওয়া যায়।
২৭. সিরাজগঞ্জের রতন কান্দি হাট। প্রতি বুধবার বসে। দেশি ও ক্রস গরু, ছাগল, ভেড়া পাওয়া যায়।
২৮. বনানী হাট, বগুড়া। সোমবার ও শুক্রবার বসে। দেশি ও বর্ডার ক্রস গরু পাওয়া যায়।
২৯. সিরাজগঞ্জের পাংগাসির হাট। প্রতি শনিবার বসে। ক্রস ও দেশি গরু, ছাগল ও ভেড়া পাওয়া যায়।
৩০. গাইবান্ধা গরুর হাট, গাইবান্ধা বাজার, ইসলামপুর, জামালপুর জিলা। সোম ও শুক্রবার। দেশি গরু পাওয়া যায়।
৩১. গজারিয়া হাট, মুন্সিগঞ্জ জিলা। শুধু মঙ্গলবার হাট বসে। দেশি ও মিরকাদিম জাতের গরু পাওয়া যায়।
৩২. নওগাঁ হাট, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ। বৃহস্পতিবারে হাট বসে। ক্রস ও দেশি গরু পাওয়া যায়।
৩৩. এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ। শুক্রবার হাট বসে, দেশি গরু বেশি পাওয়া যায়। কিছু ইন্ডিয়ান এবং নেপালি গরুও পাওয়া যায়।
৩৪. ডাকুমারা হাট, শিবগঞ্জ উপজিলা, নওয়াবগঞ্জ জিলা। প্রতি রবিবার।
৩৫. মহাস্থান হাট, বগুড়া। প্রতি বুধবার বসে। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
৩৬. ধাপের হাট, দুপচাঁচিয়া, বগুড়া। হাটবার প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার। উত্তরাঞ্চলের নামকরা বড় হাট। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
৩৭. মহিমাগঞ্জ হাট, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্দা। প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার বসে। দেশি গরু বেশি পাওয়া যায়।
৩৮. ভরতখালী হাট, সাঘাটা, গাইবান্ধা। শনিবার আর মঙ্গলবার। দেশি গাভী, লাল বাছুর ইত্যাদি পাওয়া যায়।
৩৯. আরিচা হাট, প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার। আরিচা হাট থেকে গরু কেনারা কিছু সুবিধা আছে। এই গরুগুলো বেশিরভাগ আসে চর এলাকা থেকে। গরুগুলো শুধু চরের ঘাস খাওয়ায় অভ্যস্ত। চরের এই গরুগুলো মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের জন্য বেশ সুবিধাজনক।
৪০. ছনকা বাজার, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ। শুক্রবার। চরাঞ্চলের গরু পাওয়া যায়।
৪১. চতুরহাট, বেড়া, সি অ্যান্ড বি বাজার, পাবনা। প্রতি মঙ্গলবার বসে। শাহীওয়াল আর পাবনার লাল গরুর জন্য বিখ্যাত।
৪২. বনগাঁও হাট, পাবনা জেলা। প্রতি মঙ্গলবার বসে। ক্রস গরু বেশি পাওয়া যায়।
৪৩. পুষ্পপাড়াহাট, পাবনা। প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার। দেশি ও ক্রস গরু পাওয়া যায়।
৪৪. হাজিরহাট, পাবনা জেলা। প্রতি মঙ্গল ও শুক্রবার বসে। দেশি ও ক্রস গরু পাওয়া যায়।
৪৫. আওতাপাড় হাট, পাবনা জেলা। প্রতি রবি ও বুধবার। দেশি ও ক্রস গরু পাওয়া যায়।
৪৬. পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার রেলবাজার হাট। প্রতি রবিবার বসে। গাভীর জন্য বিখ্যাত।
৪৭. অরোনকুলা হাট, ঈশ্বরদী, পাবনা। প্রতি মঙ্গলবার বসে। ফ্রিজিয়ান ও ক্রস গরুর জন্য বিখ্যাত।
৪৮. সখিপুর হাট, সখিপুর উপজেলা, শরিয়তপুর জেলা। প্রতি বুধ ও শুক্রবার৷ বসে। সখিপুরের হাটটি খাসি এবং ষাঁড় গরুর জন্যে ভালো।
৪৯. ঘরিষার হাট, নড়িয়া উপজেলা, শরিয়তপুর জেলা। প্রতি সোমবার বসে। দেশি গরু পাওয়া যায়।
৫০. ভোজেশ্বর হাট, নড়িয়া থানা, শরিয়তপুর জেলা। প্রতি শুক্রবার। ভোজেশ্বর হাটটি খাসি এবং গরুর জন্য মোটামুটি ভালো।
৫১. লাউখোলা হাট, জাজিরা থানা, শরিয়তপুর জেলা। প্রতি বৃহস্পতিবার। লাউখোলার হাটটি দুধের গরুর জন্যে নামকরা। তবে বুঝেশুনে না কিনলে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
৫২. মনোরা হাট, পালং থানা, শরিয়তপুর জেলা। হাটবার সোমবার। মনোরার হাটটি দুধের গরুর জন্যে খুবই ভালো বলে জানিয়েছেন অনেকে।
৫৩. হযরতপুর, ঢাকার কাছের হাট। হাটবার প্রতি শনিবার। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়। ষাঁড় গরু বেশি পাওয়া যায়।
৫৪. পাড়াগ্রাম বা পারাগাও হাট, সেরুমিয়া, ঢাকার কাছের হাট। হাটবার প্রতি শনিবার। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়। ষাঁড় ও মাংসের গরুর জন্য নামকরা হাট।
৫৫. চালাকচর হাট, মনোহরদ, নরসিংদী জেলা। প্রতি সোমবার বসে। দেশি গরু বেশি পাওয়া যায়।
৫৬. মনোহরদী হাট, নরসিংদী জেলা। প্রতি বুধবার বসে। দেশি ও ক্রস গরু পাওয়া যায়।
৫৭. নেত্রকোনা জেলা শহরের রাজুরবাজার নামক স্থানে প্রতি শনিবার বিশাল গরুর হাট বসে।
৫৮. রাজশাহী সিটি হাট। হাটবার রবিবার ও বুধবার। বড় আকারের ইন্ডিয়ান ও দেশি ষাঁড় গরুর জন্য নামকরা। তবে দালালের আধিক্য বেশি।
৫৯. আজমীরিগঞ্জ, হবিগঞ্জ জেলা। প্রতি রবিবার। ৯৫ ভাগই দেশি গরুর সমাহার।
৬০. ফরিদপুর টেপাখোলা হাট। প্রতি মঙ্গল বার বসে দেশি গরুর জন্য ভালো ও বড় হাট।
৬১. তেবাড়িয়া হাট, নাটোর সদর। প্রতি রবিবার বসে। দেশি ও ইন্ডিয়ান গরুর বড় হাট। ক্রস গরুও পাওয়া যায়।
৬২. মৌখাড়ার হাট, বড়াইগ্রাম, নাটোর। প্রতি শুক্রবার বসে। দেশি জাতের গরুর জন্য ভালো।
৬৩. হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর, হাটবার শুক্রবার। এখানে নাকি সারা রাত ক্রয়-বিক্রয় হয়।
৬৪. বৈরাতী হাট, মিঠাপুকুর, রংপুর। হাটবার শনিবার ও মঙ্গলবার। দেশি ষাঁড়, গাভী ও ক্রস গরু পাওয়া যায়।
৬৫. চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর মল্লিকপুর হাট। প্রতি শনিবার বসে। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
৬৬. দিনাজপুর জেলা চিরিরবন্দর থানা, রানিরবন্দরের বিশাল গরুর হাট, হাটবার সোমবার ও বৃহস্পতিবার।
৬৭. রংপুর জেলা বদরগঞ্জ থানা হাট। সোমবার ও বৃহস্পতিবার। দেশি ষাঁড় ও গাভী বেশি পাওয়া যায়।
৬৮. পাবনা জেলার হাজীর হাট নামকরা হাট। শুক্রবার ও মঙ্গলবার বসে। দেশি, শাহিওয়াল, ক্রস, পাবনা ব্রিডসহ সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
৬৯. সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর শুক্রবার এবং বেলকুচি বুধবারে বিশাল হাট।
৭০. গাজীপুর, শ্রীপুর, মাওনা। হাটবার বৃহস্পতিবার। মূলত দেশি ও ক্রস গরু পাওয়া যায়।
৭১. টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার কাইতলা হাট, প্রতি শনিবার। দেশি ও শাহীওয়াল বেশি পাওয়া যায়। ফ্রিজিয়ান ক্রসও পাওয়া যায়।
৭২. শিমুলিয়া হাট, পূর্বাচল, ঢাকা। প্রতি সোমবার। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়। তবে ষাঁড় বেশি পাওয়া যায়।
৭৩. সারুলিয়া হাট, ডেমরা, ঢাকা। প্রতি বৃহস্পতিবার। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
৭৪. বালুরমাঠ হাট, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। প্রতি মঙ্গলবার বসে। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
৭৫. উদয়পুর হাট, মোল্লাহাট উপজিলা, বাগেরহাট জেলা। অনেক পুরানো এবং ঐতিহ্যবাহী হাট। প্রতি রবিবার বসে। দেশি গরু বেশি পাওয়া যায়।
৭৬. শৈলদাহ হাট। চিতলমারী থানা, বাগেরহাট জেলা। আর হাট বসে সোম ও শুক্রবার। প্রধানত দেশি গরু পাওয়া যায়।
৭৭. ঝিনাইদহের খালিশপুর হাট, শুক্র ও সোমবার বসে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া সব কিছুই পাওয়া যায়।
৭৮. ঝিনাইদহের পুরাপারা হাট। প্রতি রবি ও বুধবার। বলদ গরু ও বেশি গরু বেশি পাওয়া যায়।
৭৯. চন্দ্রপুর হাট, পালং থানা, জেলা শরিয়তপুর। প্রতি মঙ্গলবার দুধের গরু বাদে মোটামুটি সব গরুই পাওয়া যায়।
৮০. শিমুলিয়া বাজার, কিশোরগঞ্জ জেলা। প্রতি সোমবার। সব ধরণের গরু পাওয়া যায়।
৮১. আজমেরীগঞ্জ গরুর হাট, আজমেরীগঞ্জ উপজিলা, হবিগঞ্জ জিলা। অনেক বড় হাট। গরু মহিষ ছাগল সবই পাওয়া যায়। প্রতি রবিবার।
৮২. চৌমুহনী বাজার, প্রতি রবিবার, কুটি, কসবা, বিবাড়িয়া। সাধারণত সব গরুই পাওয়া যায়। দাম ও ৪০-৫৫ হাজারে ছোট ষাঁড়, গাভি, আবাল ওঠে।
৮৩. বাইশমৌজা বাজার, প্রতি মঙ্গলবার বসে। আশুগঞ্জ, বিবাড়িয়া। বলা হয় এই অঞ্চলের সবচেয়ে কম দামে গরু পাওয়া যায় এখানে।
৮৪. ময়নামতি বাজার, প্রতি শুক্রবার বসে। কুমিল্লা। ভারতীয় গরুর আধিক্য বেশি।
৮৫. হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর এর মনতলা পার হয়ে চেঙার বাজার হাট। এটা মাধবপুরের সবচেয়ে বড় হাট।সপ্তাহে রবি ও বুধবার বসে। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
৮৬. সিরাজগঞ্জ জিলার উল্লাপাড়া উপজিলার বোয়ালিয়া হাট। অনেক বড় হাট, বিশেষ করে গাভীর জন্য। প্রতি রবিবার।
৮৭. সিরাজগঞ্জের কালিয়াকান্দাপাড়া হাট, প্রতি বৃহস্পতিবার। শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, দেশি ষাঁড় ও গাভী পাওয়া যায়।
৮৮. সিরাজগঞ্জের নলকা হাট , প্রতি বুধবার। ফ্রিজিয়ান ও পাবনা ব্রিডের জন্য নামকরা।
৮৯. সিরাজগঞ্জের চণ্ডিদাস গাতী হাট, প্রতি শুক্রবার। ফ্রিজিয়ান, গাভী, শাহিওয়াল বকনা গাভী, পাবনা ব্রিড ভালো পাওয়া যায়।
৯০. শিয়ালমারী, উথলী, জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা। বাংলাদেশের অন্যতম বড় একটি গরুর হাট। বিশেষ করে ষাঁড় গরুর জন্য। প্রতি বৃহস্পতিবার বসে।
৯১. মিরশান্নি বাজার, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা। প্রতি বুধবারে বসে। মোটামুটি সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
৯২. নীলফামারী জেলার বাসুনিয়া হাট। সব ধরনের গরু ওঠে, দামও কম। শুক্রবার সারাদিন।
৯৩. লালমনিরহাট জেলার পাট গ্রাম হাটে ইন্ডিয়ান গরু বেশি পাওয়া জায়। দাম মোটামুটি। রবিবার ও বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ১১টা।
৯৪. চাঁদপুর জেলার বড় হাট, সফরমালি হাট। হাট বসে প্রতি সোমবার। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
৯৫. মনিপুরা বাজার, রায়পুরা নরসিংদী। প্রতি বৃহস্পতিবার। প্রধানত দেশি গরু পাওয়া যায়।
৯৬. মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী গরুর হাট বৃহস্পতিবার ও সোমবার। বাঁওরের দেশি গরু পাওয়া যায়।
৯৭. মৌলভীবাজার জেলার ফুলতলা হাট। বসে প্রতি শনিবার। প্রধানত দেশি গরু পাওয়া যায়।
৯৮. আমবারি হাট, দিনাজপুর প্রতি শুক্র বার ও সোম বার বসে, শাহীওয়াল বাছুর থেকে ভালো মানের গাভী ও ষাঁড় পাওয়া যায়।
৯৯. ঝিনাইদহ জেলার বইডাঙ্গা বাজার। প্রতি মঙ্গলবার বসে। অনেক ভাল জাতের গরু পাওয়া যায়।
১০০. চুয়াডাঙ্গার ডুগডুগি হাট। বড় সাইজের গরুর জন্য বিখ্যাত। ক্রস ও দেশি ষাঁড় ও বলদ ভালো পাওয়া যায়। প্রতি সোমবার বসে।
১০১. চুয়াডাঙ্গার শিয়ালমারি হাটে ক্রস, ইন্ডিয়ান ও বলদ গরু পাওয়া যায়। প্রতি বৃহস্পতিবার বসে।
১০২. মৌলভীবাজারের মুন্সিবাজার হাটে প্রায় ৯০ ভাগ দেশি গরু পাওয়া যায়। হাটবার প্রতি বুধবার।
১০৩. মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা বাজার। দেশি, শাহীওয়াল, ক্রস, ফ্রিজিয়ান, গাভীসহ বাচ্চা পাওয়া যায়। প্রতি রবিবার বসে হাট।
১০৪. সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারে ও সব ধরনের গরু পাবেন। হাটবার প্রতি শনিবার বসে।
১০৫. মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ব্রাম্মন বাজার হাটে সব ধরনের গরুর পাশাপাশি মহিষ ও পাওয়া যায়। প্রতি সোমবার বসে এই হাট।
১০৬. সিলেটের জৈন্তাপুর গরুর হাট সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় ইন্ডিয়ান ষাঁড় ও বলদ পাওয়া বেশি। দেশি গাভীসহ বাচ্চা ও বিক্রি হয় এই হাটে। ইন্ডিয়ান গরুর একটা বড় হাট।
১০৭. সাতক্ষীরার পারুলিয়া হাট। প্রতি রবিবার। প্রধানত দেশি ষাঁড় ও গাভী পাওয়া যায়।
১০৮. পিংনা হাট, সরিষাবাড়ি, জামালপুর। শুক্রবার বসে। দেশি, শাহীওয়াল ফ্রিজিয়ান জাতের ছোট বড় মাঝারি সকল ধরনের গরু পাওয়া যায়।
১০৯. কুমিল্লা জেলার হোমনা ঘারমোড়া বাজার বসে প্রতি সোমবার। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
১১০. কুমিল্লা জিলার তিতাস উপজিলার বাতাকান্দি হাট। প্রতি বুধবার বসে। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
১১১. যশোরের চৌগাছা হাট। প্রতি সোমবার ও বুধবার বসে। দেশি গরু, গাভী, মাংসের গরু এবং ছোট গরু বেশি পাওয়া যায়।
১১২. নীলফামারী সদর হাট। বুধবার এবং রবিবার বসে। সব ধরনের দেশি ও ইন্ডিয়ান গরু পাওয়া যায়।
১১৩. ঠাকুরগাঁও জেলার যাদুরানী হাট। প্রতি মঙ্গলবার বসে। সকল প্রকার দেশি গরু পাওয়া যায়।
১১৪. বরিশালের গৌরনদী থানার পাশেই কসবার হাট। প্রতি বৃহস্পতিবার বসে। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
১১৫. নাকালিয়া বাজার হাট, বেশি বড় না, চড় অঞ্চলের গরু বেশি পাওয়া যায়, প্রতি রবিবার, উপজেলা বেড়া, জেলা পাবনা। যুমুনা নদীর পাড়ে।
১১৬. সিলেট এর হরিপুর বাজার। প্রতিদিন হাট বসে। এখানে ইন্ডিয়ান সব গরু পাওয়া যায়। এটি মূলত মাংসের বাজার।
১১৭. দারিয়াপুর হাট, গাইবান্ধা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। িএখানে সাধারণত তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলের দেশি গরু পাওয়া যায়। মঙ্গলবার ও শুক্রবার বসে।
১১৮. ইখড়ি হাট, তেরখাদা, রূপসা, খুলনা। প্রতি শুক্রবার। মূলত স্থানীয় ও দেশি জাতের গরু পাওয়া যায়।
১১৯. শরীয়তপুরের সবচেয়ে বড় গরুর হাট হলো কাজিরহাট, জাজিরা, শরীয়তপুর। হাট বসে বৃহস্পতিবার ও রবিবার। দেশি গরু বেশি পাওয়া যায়।
১২০. ফরিদপুর টেপাখোলা হাট। প্রতি মঙ্গলবার বসে। দেশি ষাঁড় গরুর জন্য ভালো হাট।
১২১. মাদারীপুর হাট। মাদারীপুর সদরে। প্রতি বুধবার বসে। দেশি গরু খুব পাওয়া যায়।
১২২. মাদারীপুর জেলায় টেকের হাট গরুর হাট। ব্রিজের কাছে। প্রতি বুধবার বসে। দেশি গরু ভালো পাওয়া যায়।
১২৩. লালমনিরহাটের বড়বাড়ি হাট। প্রতি বুধবারে হাট বসে। অনেক দেশি ও ইন্ডিয়ান গরু পাওয়া যায়।
১২৪. ময়মনসিংহ জেলার লক্ষ্মীগঞ্জ হাট। প্রতি মঙ্গলবার বসে। দেশি গরুর আধিক্য দেখা যায় এই হাটে।
১২৫. ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা হাট। হাট প্রতি বুধবার বসে। দেশি ও ফ্রিজিয়ান গরু বেশি পাওয়া যায়।
১২৬. হবিগঞ্জের মাধবপুরের ফান্দাগের হাট। প্রতি বৃহস্পতিবার বসে। দেশি গরু ভালো পাওয়া যায়।
১২৭. শেরপুরের পাঠাকাটা হাট। প্রতি রবিবার বসে। মূলত দেশি গরু ছাগল পাওয়া যায়।
১২৮. শেরপুরের নকলা হাট। প্রতি বৃহসপতিবার বসে। দেশি গরু ও ছাগল ভালো পাওয়া যায়।
১২৯. শেরপুরের নালিতাবাড়ী হাট। প্রতি মঙ্গলবার বসে। দেশি গরু পাওয়া যায়।
১৩০. ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট হাট। প্রতি বৃহস্পতিবার বসে। দেশি গরু ভালো পাওয়া যায়।
১৩১. চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে বটতলা হাট। প্রতি শুক্রবারে বসে। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
১৩২. চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জের তত্তিপুর হাট। প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার বসে। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
১৩৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটের খাসের হাট। প্রতি সোমবার ও শুক্রবার বসে। প্রায় সব ধরনের গরুই পাওয়া যায়।
১৩৪. ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চাঁদগাজী হাট। প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার বসে। সব ধরনের গরু ছাগল পাওয়া যায়।
১৩৫. ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট। প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার বসে। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
১৩৬. কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া কাজীর বাজার।রবীবার ও বৃহস্পতিবার বাজার বসে। সব ধরনের গরু পাওয়া যায়।
১৩৭. যশোর জেলার মনিরামপুর (থানা) গরুর হাট। হাটের দিন- শনিবার ও মঙ্গলবার। ছোট বড় সব ধরনের গরু ছাগলের হাট। ঢাকা থেকে মনিরামপুরের যে কোনো গাড়িতে উঠে সরাসরি হাটের সামনে নামতে পারবেন।
১৩৮. ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বাটাজোর বাজারে সব ধরনের গরু বেচাকেনা হয়। হাট বসে শুক্রবার ও মঙ্গলবার।
১৩৯. ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গাজীর বাজারে প্রতি সোমবার গরু-ছাগলের হাট বসে।
১৪০. শঠিবাড়ী হাট, মিঠাপুকুর, রংপুর। প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। বিশাল গরুর হাট ।
১৪১. সাতক্ষীরার সাবেক বৈকারী হাট। তবে এখানে এখন হাট হয় না। হাট হয় আবাদেরহাট শনি ও মঙ্গলবার। ইন্ডিয়ান বলদ বেশি পাওয়া যায়।
১৪২. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার চৌমুহনী বাজার। দেশি, ইন্ডিয়ান, ক্রস, ফ্রিজিয়ান সব ধরনের গরু পাওয়া যায়। বাজারের আয়তন ১৯০ শতক। হাট বসে রবিবার সকাল ৮টা থেকে। হাসিল মাত্র ৩০০ টাকা।
১৪৩. বর্তমানে নোয়াখালীতে সোনাইমুড়ি উপজেলার আমকি বাজার সবচেয়ে বিখ্যাত। ক্রস, শাহীওয়াল, দেশি বাচ্চা গরু প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। দেশি গাভীও ওঠে। প্রতি সপ্তাহে একদিন বসে, সোমবার। বিশেষ করে কুমিল্লার ব্যাপারীরা প্রতি হাট থকে ১৫০/২০০ বাছুর সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
১৪৪. পুটিয়া হাট, শিবপুরি থানা, নরসিংদী জেলা। এখানে গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, ঘোড়া, সবই আসে। নরসিংদী জেলা সবচেয়ে বড় হাট, প্রতি শনিবার হাট বসে।
১৪৫. চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা হাট। এই এলাকার আশপাশের মধ্যে সর্ববৃহৎ হাট। প্রতি বুধবার এই হাট বসে।
দ্রষ্টব্য: আপনার কাঙ্ক্ষিত জেলার হাটটি সহজে খুঁজে পেতে কম্পিউটারের কি-বোর্ডে Ctrl + F দুই বাটন একসাথে চাপুন। এবার সার্চ অপশনে জেলার নাম লিখুন। মোবাইলের ক্রোম বাউজারের সেটিংয়ে গিয়ে Find in Page- এ টাচ করুন। এবার সার্চ অপশনে কাঙ্ক্ষিত স্থানের নামটি লিখুন।